মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের পর বস্ত্রখাতের উননয়ন সম্প্রসারণ ও বিকাশের লক্ষ্যে বস্ত্র খাতকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত ও দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে বস্ত্র পরিদপ্তর সৃষ্টি করা হয়। ১৯৯০ সালে এক ঘোষণাবলে বস্ত্র পরিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যূরোর নিকট অর্পণ করা হয়। দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পর বর্তমান সরকার পুনরায় বস্ত্র পরিদপ্তর ২৬ মে/২০১৩ খ্রিঃ তারিখে দায়িত্ব হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বস্ত্র পরিদপ্তরকে বস্ত্র অধিপ্তরে উন্নীত করে।
১৯৭৮ সালে বস্ত্র পরিদপ্তর সৃষ্টি হলে ২৭ টি বয়ন বিদ্যালয় ও ৫ টি জেলা বয়ন বিদ্যালয় নিয়ে যাত্রা শুরূ করে। জেলা বয়ন বিদ্যালয়ে ০২ (দুই) বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স চালু ছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে এস.এস.সি (ভোকঃ) শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। বর্তমানে ৪১ (একচল্লিশ) টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে এস.এস.সি (ভোকঃ) শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে। এসব প্রতষ্ঠিানের পাশকৃত শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ও সাধারণ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ডিপ্লোমা কোর্স সমাপ্তির পর চাকুরির পাশাপাশি বি.এস.সি ইন টেক্সটাইল এ উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের টেক্সটাইল সেক্টরে সুনামের সহিত চাকুরি করছে। টেক্সটাইল শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অত্র কুমিল্লা জেলায় একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুনামের সহিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে চম্পকনগর এলাকায় অবিস্থত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস